💡 দোকানদার আর কাস্টমারের সহজ হিসাব 💡
অনেক সময় রিচার্জ বা কোনো বিল দেওয়ার পর কাস্টমার বড় নোট দেয়, কিন্তু দোকানদারের কাছে খুচরা কম থাকে। তখন একটু মাথার খেলা করে হিসাব মিলিয়ে নিতে হয়।
আমি একজনের মোবাইল রিচার্জ করলাম 350 টাকার .তাহলে আমি কাস্টমার এর কাছে 350 টাকা পাব .এবার customer আমাকে 500 টাকার নোট দিল .আমার মানিবাগ এ 200 টাকা এবং 50 টাকার নোট পরে আছে .আমি customer কে 200 টাকার নোট দিলাম এবং বললাম আমাকে 50 টাকা ফেরত দিও .কাস্টমার এর কাছে 100 টাকার নোট আছে .কাস্টমার কি করল আমাকে 50 টাকা দিতে বলল এবং customer আমাকে 100 টাকা দিল .এই হিসাব টা আপনি কিভাবে করবেন ?
চলুন সংক্ষেপে মিলিয়ে দেখি:
- রিচার্জ = 350 টাকা
- কাস্টমার দিল = 500 টাকা
 👉 তাই ফেরত দেওয়া উচিত 150 টাকা
- আপনি কাস্টমারকে 200 টাকার নোট দিলেন
 👉অর্থাৎ 50 টাকা বেশি দিয়ে ফেললেন
 👉 মানে এখন কাস্টমারের কাছ থেকে 50 টাকা ফেরত পাওয়া দরকার
- কাস্টমারের কাছে 50 টাকা না থাকায়, আপনি ভাবলেন—
 👉 “আমি যদি তাকে আরও 50 টাকা দিই, তবে সে আমাকে 100 টাকার নোট দিতে পারবে।”
- তাই হলো:
 - আপনি দিলেন আরও 50 টাকা
- কাস্টমার আপনাকে দিল 100 টাকা
 
- শেষের ব্যালান্স:
 - ফেরত দিয়েছেন = 200 + 50 = 250 টাকা
- কাস্টমার আপনাকে ফেরত দিয়েছে = 100 টাকা
- 👉 নেট ফেরত গেছে = 250 – 100 = 150 টাকা ✅
 
👉✨ মূল সূত্র ✨
কাস্টমারের মোট টাকা – আপনার খরচ হওয়া টাকা = কাস্টমারের পাওনা টাকা
অঙ্ক – ১
আমি রিচার্জ করলাম 420 টাকা।
            কাস্টমার আমাকে দিল 1000 টাকার নোট।
            তাহলে কাস্টমার পাবে 580 টাকা।
আমার কাছে যেহেতু 500 টাকার নোট আছে, আমি তাকে 500 টাকার নোট দিলাম।
            তাহলে আমি কাস্টমারের কাছে 80 টাকা ফেরত পাব।
এখন আমাকে দেখতে হবে কাস্টমারকে আর কত টাকা দিলে সে আমাকে 100 টাকার নোট দেবে।
            আমি যদি কাস্টমারকে 20 টাকার নোট দিই, এক্ষেত্রে কাস্টমার আমাকে 100 টাকার নোট ফেরত দেবে। ✅
অঙ্ক – ২
আমি রিচার্জ করলাম 275 টাকা।
            কাস্টমার আমাকে দিল 500 টাকার নোট।
            তাহলে কাস্টমার পাবে 225 টাকা।
আমার কাছে যেহেতু 200 টাকার নোট আছে, আমি তাকে 200 টাকার নোট দিলাম।
            তাহলে আমি কাস্টমারের কাছে 25 টাকা ফেরত পাব।
এখন আমাকে দেখতে হবে কাস্টমারকে আর কত টাকা দিলে সে আমাকে 50 টাকার নোট দেবে।
            আমি যদি কাস্টমারকে 25 টাকার কয়েন/নোট দিই, এক্ষেত্রে কাস্টমার আমাকে 50 টাকার নোট দেবে। ✅
অঙ্ক – ৩
আমি রিচার্জ করলাম 630 টাকা।
            কাস্টমার আমাকে দিল 1000 টাকার নোট।
            তাহলে কাস্টমার পাবে 370 টাকা।
আমার কাছে যেহেতু 500 টাকার নোট আছে, আমি তাকে 500 টাকার নোট দিলাম।
            তাহলে আমি কাস্টমারের কাছে 130 টাকা ফেরত পাব।
এখন আমাকে দেখতে হবে কাস্টমারকে আর কত টাকা দিলে সে আমাকে 200 টাকার নোট দেবে।
            আমি যদি কাস্টমারকে 70 টাকা দিই, এক্ষেত্রে কাস্টমার আমাকে 200 টাকার নোট দেবে। ✅
অঙ্ক – ৪
আমি রিচার্জ করলাম 150 টাকা।
            কাস্টমার আমাকে দিল 200 টাকার নোট।
            তাহলে কাস্টমার পাবে 50 টাকা।
আমার কাছে যেহেতু 100 টাকার নোট আছে, আমি তাকে 100 টাকার নোট দিলাম।
            তাহলে আমি কাস্টমারের কাছে 50 টাকা ফেরত পাব।
এখন আমাকে দেখতে হবে কাস্টমারকে আর কত টাকা দিলে সে আমাকে 100 টাকার নোট দেবে।
            আমি যদি কাস্টমারকে 50 টাকা দিই, এক্ষেত্রে কাস্টমার আমাকে 100 টাকার নোট দেবে। ✅
কাস্টমারের জন্য সূত্র
👉 আমি (কাস্টমার) যত টাকা দিলাম – রিচার্জ = আমার ফেরত পাওয়ার কথা
উদাহরণ (আপনার প্রথম অঙ্ক থেকে):
- রিচার্জ = 350 টাকা
- আমি (কাস্টমার) দিলাম = 500 টাকা
 👉 আমার পাওনা ফেরত = 500 – 350 = 150 টাকা
কাস্টমারের মাথায় সহজ ধাপ
- প্রথমে হিসাব করে নেব আমি কত ফেরত পাওয়ার কথা (এখানে 150)।
- দোকানদার (আপনি) আমাকে যদি 200 টাকা ফেরত দেন, তাহলে বুঝব আমি 50 টাকা বেশি পেলাম।
 👉 তাই এখন আমার থেকে দোকানদারের 50 টাকা ফেরত নেওয়া দরকার।
- আমার কাছে 50 টাকা না থাকলে, আমি ভাবব —
 👉 “আমার কাছে 100 টাকা আছে, আমি তাকে 100 টাকা দেব, সে আমাকে 50 টাকা ফেরত দেবে।”
কাস্টমারের মাথায় কথায় বললে দাঁড়ায়:
- “আমার ফেরত পাওয়ার কথা 150।”
- “সে আমাকে 200 দিল, মানে 50 টাকা বেশি।”
- “আমি তাকে 100 টাকা দিলাম, সে আমাকে 50 ফেরত দিল, তাহলে শেষমেশ আমার হাতে থাকবে ঠিক 150।” ✅
👉 মানে, কাস্টমারকে শুধু নিজের ফেরত পাওয়ার টাকা (150, 225, 370 ইত্যাদি) মনে রাখতে হবে।
            তারপর নোট কেটে-ছেঁটে যত লেনদেন হোক, শেষমেশ হাতে ফেরত সেই টাকাটা থাকলেই হিসাব ঠিক।
